কথিত আছে অদ্বৈত প্রভুর মা লাভাদেবী ওরপে নাভাদবেী তাঁর অষ্টম বর্ষীর পুত্র কমলাক্ষকে নিয়ে রাত্রিতে গভীর নিদ্রায় শায়িত আছেন। রাত্রি তখন শেষ প্রহর। কমলাক্ষের (অদ্বৈত প্রভু) মাএক বিশ্ময়কর স্বপ্ন দেখতে পেলেন। তিনি গঙ্গাস্নান করছেন এবং তাঁর ক্রোড়স্থ শিশুটি শুভচক্রে গদা পদ্মধারী মহাবিষ্ণু। অঙ্গজ্যোতিতে চারতিক আলোকিত । বিষয়োবিষ্ট জননী এই দিব্যকান্তি শিশুর নিকট পাদোদক প্রার্থনা করছে। কিন্তু তাকি করে সম্ভব? পুত্রের নিকট তিনি পাদোদক প্রার্থনা করেন কি করে? তখন কমলাক্ষ (অদ্বৈতাচার্য) ঘুম হতে জাগ্রত হলেন। মায়ের মুখের দিকে চেয়ে তিনি জানতে চাইলেন কেন তিনি হতাশায় ভোগছেন?
মাতা লাভাদেবী অনেক চিন্তা ভাবনা করে আপন পুত্রকে সকল স্বপ্ন বৃত্তান্ত খুলে বললেন। মায়ের স্বপ্ন শুনে কমলাক্ষ(অদ্বৈততাচার্য)চিন্তা করলেন তাঁকে বৃদ্ধাবস্থায় এতদূরে নিয়ে গঙ্গাঁস্নানকরানো সম্ভব নয়। তাছাড়া লাভা দেবী জীবিতাবস্থায় গঙ্গায় গিয়ে গঙ্গাস্নান করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। এমতাবস্থায় কমলাক্ষ প্রতিজ্ঞা করলেন “সপ্ত তীর্থ আমি হেথায় করিমৃ স্থাপন”।এইকথা শুনিয়া আরো সংশয় সৃষ্টি হলো। একি করে সম্ভব হবে? কিন্তু তিনি সকল দ্বিাধা দন্দের অবসান ঘটিয়ে বৃদ্ধা মায়ের অভিলাষ পূরণে পূণ্য উদ্দেশ্যে যোগ সাধনা বলে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথীতে পৃথিবীর সপ্ত তীর্থকে আহবান করে রেনুকা (যাদুকাটা নদীর প্রাচীন নাম) নদীর জলেন ধারায় সপ্ততীর্থের জল একত্রিত করে প্রবাহিত করে দিয়েছিলেন। তিনি সপ্ত তীর্থকে অঙ্গীকারাবদ্ধ করিয়েছিলেন যে,যতদিন এই পুথিবী থাকবে ততদিন তারা এইপূণ্য তিথীতে এই ধামে আগমন করে সকল ভক্তদের মনের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করবেন। এই সত্য আজো প্রতিপালিত হয়। তার সাধনাসিদ্ধ ফল বারূণীযোগ নামেও অভিহিত। যাদুকাটা নতীতে এই পূণ্য তিথীতে বেড়ে যায় জলের ধারা। লক্ষাদিক ভক্তের আগমনে প্রতি বৎসর এই নিভৃত জনপদে নেমে আসে প্রাণ চাঞ্চল্য,আর আনন্দের মহা পঐাবন। আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলেই এই পূণ্য সলিলার পুরঃবারিতে স্নাণ করে ধন্য হন। নিজেদেরকে করেন কলুষমুক্ত। নিদির্ষ্ট লগ্নে স্নাণ করাকে ভক্তরা গঙ্গা স্নানের সমতুল্য মনে করে থাকে । এতে মনোবাঞ্চা পূর্ণ হয় বলে তাদের বিশ্বাস।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস