সিলেটের প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায় যে, ১৩০৩ খ্রিঃ (৭০৩ হিঃ) হযরত শাহ জালাল মোজাররদ ইয়ামেনী (রহঃ) সিলেপে আগমন করেন এবং তার অন্যতম সঙ্গ ছিলেন হযরত শাহ আরেফিন(রহঃ) । তিনি তরফ বিজেতা বারো আওলীয়ার অন্যতম ছিলেন। ১ম পর্যায়ে তিনি দিনারপুরের সদরঘাপটে কিছুদিন অবস্থান করেন এবং চিল্লাকুশী করেন। সেখানে এখনও লোক মুখে তার নানাবিধ কেরামত সর্ম্পকে অনেক অলৌকিক ঘটনা জানা যায়। তার স্মরণার্থে সেখানে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শেষের বৃহস্পতিবার মেলা বসে। তার স্মরণে অগনিত ভক্তের সমাগমসহ ওরস ও দোয়াখায়ের হয়ে থাকে। অবশেষে তিনি কিছুদিন সুনামগঞ্জ শহরে অবস্থান করেন। তার নামানুসারেই শহরের আফিননগর গ্রামের নাম করণ করা হয়েছে কলে ধারনা করা হয়। পরবতীতে তিনি লাউড় রাজ্যের লাউরেরগড় প্রামের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মেঘালয়ের পাহাড়ের উপরে আস্তানা স্থাপন করেন এবং ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যান। প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনায় তার প্রকৃত না ও পরিচিতি পাওয়া যায়নি। শাহ আরেফিন (রহঃ) নামেই তিনি সমধিক পরিচিত । আরেফদের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করায় সম্ভবত তিনি এই আধ্যাতিক খেতাব লাভে সক্ষম হন।
তিনি ছিলেন অলৌকিক প্রভাব শক্তির অধিকারী একজন আদর্শ মানব। তাঁর কীর্তিগাঁথা অলৌকিক কাহিনী সমূহ আজও মুরব্বিদের মুখে মুখে শুনে অবাক হতে হয়। সুদুর অতীতকাল থেকে অদ্যাবধি পুতি বছরই পনাতীর্থ মেলার তারিখির সাথে সমঞ্জস্য রেখে অগনিত বাউল পাগল ফকির,মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ ,কৃষ্টান,পাহাড়ী বাঙ্গালী নিব্যিশেষে সকল ধর্ম্যের মানুষ ফায়েজের আশায় হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ) এর স্মৃতিবিজড়িত স্থান সমূহ দর্শন করার অনুমতি প্রদান করা হয়।ফলে লক্ষাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে শাহ আরেফিন(রহঃ) এর ওরস হয়ে ওঠে প্রালবন্ত ও অত্যন্ত আকর্ষনীয়। এরত করন মৈত্রী ও সম্প্রীতির বহিপ্রকাশ ঘটে। যা বাস্তবে দর্শন না করলে কোন অবস্থায় অনুমান করা যাবে না। যুগযুগ ধরে এইঐতিহাসিক কর্মকান্ড চলে আসছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS